দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : পোস্টার বিতর্ক যেন রাজ্য রাজনীতি পিছু ছাড়ছে না ফের ফের দাদার অনুগামীদের পোস্টার ঘিরে বিতর্ক। পোস্টারে জঙ্গলমহলে দাদার অনুমোদিত ৬১ টি আসনের দাবি ।
ফের পড়ল দাদার অনুগামীদের পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ায়। আজ সকালে রীতিমত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, ও নরেন্দ্র মোদীর ছবি সম্বলিত দাদার অনুগামীদের পোস্টারে জঙ্গলমহলের ৬১ টি আসনে দাদার অনুমোদিত প্রার্থীর দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে সিংহাসনে দেখতে চাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় একাধিক দেওয়ালে চেটানো এই রঙিন পোস্টারকে ঘিরে এখন সরগরম রাজনৈতিক মহল।
তৃনমূলে থাকাকালীনই বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে শুভেন্দু অধিকারীর নিজস্ব জনভিত্তি গড়ে ওঠে। তৃনমূলের অবজারভার থাকাকালীন দলের একাংশ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসাবে পরিচিত হয়। তৃনমূলে থেকেই শুভেন্দু অধিলারী বেসুরো হলে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় আমরা দাদার অনুগামী হিসাবে পোস্টার পড়ে। তৃনমূল নেতাদের একাংশ প্রকাশ্যে দাদার অনুগামী হিসাবে ঘোষণাও করে। কিন্তু পরে শুভেন্দু অধিকারী তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলে বাঁকুড়া জেলায় আর দাদার অনুগামীদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড চোখে পড়েনি। মাঝে কয়েকমাস সেভাবে আর দেখা না মিললেও নির্বাচনের আগে ফের দাদার অনুগামী পোস্টার পড়ায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়াল রাজনৈতিক মহলে। গেরুয়া কাগজের উপর কালো কালীতে ছাপা এই পোস্টারে শুভেন্দু অধিকারীর চালু করা কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে স্লোগানের পাশাপাশি লেখা রয়েছে বাংলার ছেলেকে বাঙালিরা বাঙলার সিংহাসনে দেখতে চায়। ছাপানো ওই পোস্টারে শুভেন্দু অধিকারীকে ভূমিপুত্র দাবি করে লেখা রয়েছে জঙ্গলমহলের ৬১ টি আসনে দাদার অনুমোদিত প্রার্থী চাই এবং দাদাকেই বাংলার সিংহাসনে দেখতে চাই। পোস্টারের প্রেস লাইনে ছাপানো হরফে আমরা দাদার অনুগামী লেখা থাকলেও এই পোস্টার আসলে কে বা কারা লাগিয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি স্থানীয় বাসিন্দারা। বিজেপির দাবি দলের মধ্যে দ্বন্দ লাগানোর জন্য তৃনমূলই এই পোস্টার লাগিয়েছে। তৃনমূলের দাবি এই পোস্টার বিজেপির নব্য বনাম আদি দ্বন্দের ফসল। বামেদের দাবি যে তৃনমূল সেই বিজেপি। মানুষের সমস্যার কথা বাদ দিয়ে এখন কে বিধায়ক হবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ করছে দুই দলের নেতারা। এই পোস্টার সেই দ্বন্দেরই বহিঃপ্রকাশ।